বিশ্বাস

আল্লাহ্‌ তার বান্দাকে কখনো নিরাশ করেন না।

জীবনে যতই কষ্ট আসুক আর যতই দুঃখ আসুক মানুষের নিরাশ হওয়া উচিৎ না। যাদের ভিতর আল্লাহ্‌র ভয় থাকে তারা কখনো নিরাশা হয় না আর সবচেয়ে বড় যেটা আল্লাহ্‌ তাদের এভাবে ছেড়েও দেয় না।  আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আযাব বা পরীক্ষা দুইটাই আসে আর দুইটাই কল্যাণকর। আযাব সেইটা মুমিন  মুসলিমের জন্য সংশোধন নিয়ে আসে আর পরীক্ষা দিয়ে আল্লাহ্‌ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে তার নৈকট্যে নিয়ে আসেন । আমরা আল্লাহ্‌র মুখাপেক্ষী তার আযাব এবং পরীক্ষার মানুষের জীবনে আসবেই।  তাই বলে আমরা আল্লাহ্‌র আযাব পেতে অবশ্যই চাইব না! তার আযাব বড়ই কঠিন। আল্লাহ্‌ তুমি মাফ কর। তাই পাপের জন্য অবশ্যই তওবা করতে হবে ফিরে আসতে হবে আল্লাহ্‌র কাছে। নিজের দোষ স্বীকার করতে হবে, শাস্তি পেলে তাও স্বীকার করতে হবে।  তওবার জন্য যে শর্ত প্রযোজ্য তা পূরণ করতে হবে অবশ্যই বান্দা ও আল্লাহ্‌র হকের ক্ষেত্রে। আল্লাহ্‌ অবশ্যই তওবা কবুলকারী আর তিনি সেই অন্তরের তওবাই কবুল করে থাকেন যে অন্তরে ইখলাস, তাওয়াক্কুল আছে। কারন তিনি সবার মনের গোপন  খবরও জানেন।  আর যে অন্তরে ইখলাস থাকে সে অন্তরকে আল্লাহ্‌  কখনো অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখেন না।  নিজের জন্য সবচেয়ে বড় প্রার্থনা এটা যে, আল্লাহ্‌  যেনো আমার অন্তরে  ইখলাসকে গেঁথে দেন তাওয়াক্কুলকে যেনো আমার শ্বাস-প্রশ্বাসে মিশিয়ে দেন। (আমীন) 

আর তার পরীক্ষা যতই কঠিন হোক চাইব তিনি যেন ধৈর্যশীলদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেন আর এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে হেদায়েতপ্রাপ্ত ও উঁচু মর্যাদাশীলদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেন।  আল্লাহ্‌ যদি তার কোন মুমিন বান্দাকে পরীক্ষা করেন আর তিনি ধৈর্য ধারণ করেন আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করেন এটা যে কতটা কল্যাণকর!  সেই দিবসের উপর ভরসা, বিশ্বাস করে বলছি।  আমাদের মহান রব আমাদের এমন পুরষ্কিত করবেন যে!  তার ওয়াদা সত্য করবেন।  দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদের কল্যাণ আর কল্যাণই দিবেন। 

Comments